কোন বয়সে বিয়ে করলে আপনি বেজায় খুশি থাকবেন তা জানতে জন্ম কুষ্টিটা দেখতে ভুলবেন না যেন!

কী আবোল তাবোল বকছেন বলুন তো? বিয়ের সঙ্গে কুষ্টির কী সম্পর্ক মশাই! আরে সম্পর্ক আছে বন্ধু! তাই না দেখতে বলছি। আসলে জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে আমরা যে সময় জন্মেছি, সেই সময়কার গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান দেখে জাতক-জাতিকার রাশি সম্পর্কে যেমন জেনে ফেলা সম্ভব, তেমনি রাশি দেখে বলে দেওয়া সম্ভব কোন বয়সে বিয়ে করলে অফুরন্ত খুশির সন্ধান পেতে পারেন আপনারা। তাই তো বলি বন্ধু, এখনও পর্যন্ত যদি বিয়ে না করে থাকেন, তাহলে একবার নিজের রাশিটা জেনে নিয়ে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! কেন এই লেখাটি পড়তে হবে? আসলে বন্ধু, এই প্রবন্ধে প্রতিটি রাশির আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণ করে জানার চেষ্টা করা হবে প্রতিটি রাশির জাতক-জাতিকাদের বিয়ে করার আদর্শ বয়স সম্পর্কে। তাই তো আর অপেক্ষা নয়, চলুন বন্ধু শুরু করা যাক সুলুকসন্ধান...

১. মেষরাশি: এই রাশির জাতক-জাতিকারা অনেকটা হাওয়ার মতো হয়। হাওয়াকে যেমন বোতল বন্দি করা সম্ভব নয়, তেমনি এদেরকেও নিয়ম-শৃঙ্খলার শিখলে বাঁধা সম্ভব নয়। উপরন্তু এরা একেবারেই ভেবে-চিন্তে কাজ করেন না। তাই তো নানাবিধ ঝুট-ঝামেলায় ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এদের। এই একই কারণে এরা জীবনসঙ্গী বাছার ক্ষেত্রেও নানা ভুল করে ফেলেন। তাই তো বলি বন্ধু সুখ-শান্তিতে বৈবাহিত জীবন কাটুক, এমনটা যদি চান তাহলে লাইফ পার্টনার বাছার ক্ষেত্রে একেবারেই তাড়াহুড়ো করবেন না। বরং মানুষটার সঙ্গে আপনার মনের এবং স্বভাবের মিল হবে কিনা, সে সম্পর্কে দেখে-শুনে নিয়ে তবে শেষ পদক্ষেপটা নেবেন। আর অবশ্যই ২৫-৩০ এর মধ্যে বিয়ে করার চেষ্টা করবেন। কারণ এই সময়টাই হল মেষরাশির জাতক-জাতিকাদের ক্ষেত্রে বিয়ে করার সবথেকে আদর্শ সময়।

২. বৃষরাশি: আপনারা যে কোনও সম্পর্ককেই খুব সিরিয়াসলি নেন। বিশেষত বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত তো এই রাশির জাকত-জাতিকার বেশ ভেবে-চিন্তেই নিয়ে থাকেন। তাই একথা বলা যেতেই পারে যে এরা যখনই বিয়ে করুক না কেন, সুখে-শান্তিতেই কাটবে এদের জীবন। অর্থাৎ বৃষরাশির জাতক-জাতিকাদের কাছে বয়স একটা নম্বর মাত্র।

৩. মিথুনরাশি: এরা যে কোনও বিষয় নিয়েই বেজায় দোটানায় থাকেন। তাই কখন বিয়ে করার উচিত সে নিয়ে কোনও সময়ই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারে না। শুধু তাই নয়, এদের চরিত্রের সবথেকে খারাপ দিক হল এদের খুব সহজেই কোনও জিনিস থেকে মন উঠে যায়। তাই তো বেশি দিন একটা সম্পর্কে এরা একেবারেই থাকতে পছন্দ করেন না। প্রসঙ্গত, এমন চরিত্রের মানুষদের জন্য ৩০ পেরতে না পেরতেই বিয়ে করে নেওয়াটা উচিত। না হলে কিন্তু সারা জীবন একাই থেকে যেতে হতে পারে..!

৪. কর্কটরাশি: এরা সম্পর্ককে মূল্য দিতে জানে। তাই তো কাউকে একবার ভালোবেসে ফললে সেই সম্পর্ককে নাম দিতে এরা মুখিয়ে থাকেন। এই কারণেই তো এমন মানুষ মনের মতো সঙ্গী জুটে গেলে ২৫-৩০ এর মধ্যে বিয়ে করে নেওয়া উচিত। কারণ কর্কটরাশির জাতক-জাতিকারা খুব নরম মনের হয়। তাই তো বেশি দিন একা থাকলে এদের অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৫. সিংহরাশি: একা থাকবো ক্ষতি নেই! কিন্তু বিয়ে করবো তাকেই যে আমাকে বুঝবে...! এমন মানসিকতার হন এরা। তাই তো সব দিক তলিয়ে ভেবে তবে সিংহরাশির জাতক-জাতিকারা জীবনসঙ্গী বেছে থাকেন। এমন ভাবনা-চিন্তা মন্দ নয়, তবে ৩০ ছোঁয়া মাত্র বিয়েটা সেরে নিতে ভুলবেন না যেন! কারণ এর থেকে বেশি দেরি করলে কিন্তু নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে!

৬. কন্যারাশি: আপনারা যে "পার্ফেকশনিস্ট" সে কথা জানা আছে। আর এই কারণে সহজে কেউ যে আপনাদের মনে ধরে না, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! কিন্তু ২৫ পেরতে না পরতেই যদি বিয়ে না করেন, তাহলে কিন্তু মহা বিপদ! আসলে আপনাদের ক্ষেত্রে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান যা, তাতে এই সময়ের মধ্যে বিয়ে না করলে কিন্তু...!

৭. তুলারাশি: বিয়ে পাগল বলতে যা বোঝায়, এরা একেবারে তেমন হন! তাই তো চটজলদি সম্পর্কে আসার জন্য এমন কাউকে জীবনসঙ্গী বানিয়ে ফেলেন যে সারা জীবনটা দুঃখে কাটাতে হয়। তাই তো বলি বন্ধু, বৈবাহিত জীবন সুখে-শান্তিতে কাটুক, এমনটা যদি চান, তাহলে একটু ভেবে-চিন্তে জীবনসঙ্গী বাছুন, আর বিশের কোটায় থাকতে থাকতে মঙ্গল কাজটা সেরে ফেলুন। দেখবেন ঠকবেন না আপনি।

৮. বৃশ্চিকরাশি: মনের মতো সঙ্গী পেলে এরা পাগলের মতো ভালোবাসতে পিছপা হন না। তাই তো বলি বন্ধু কোনও বয়স নয়, বরং সঠিক জীবনসঙ্গীর সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আর যখন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসবে, তখন সেই মানুষকে বিয়ে করতে দেরি করবেন না যেন!

৯. ধনুরাশি: এরা বেজায় স্বাধীনচেতা হন। কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পরতে যেমন এরা একেবারেই পছন্দ করেন না, তেমনি কোনও ধরনের দায়িত্ব নিতেও এরা বেজায় অপারক। তাই তো বলি বন্ধু, শুধু বিয়ে করতে হবে বলে বিয়ে করলে কিন্তু ফেঁসে যাবেন। তাই মনের মানুষটির দেখা পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, কিন্তু তাই বলে ৩০-এর পরে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেবেন না যেন!

১০. মকররাশি: এরা নিজের কাজকে খুব ভালবাসেন, কিন্তু তাই বলে কাউকে ভালোবাসতে ভয় পান না। বরং বলা যেতে পারে কাজ এবং পার্সোনাল লাইফের মধ্যে সঠিক ব্যালেন্সটা কীভাবে রাখতে হবে, তা এদের থেকে ভাল কেউ জানেন না। তাই তো বলি বন্ধু মনের মানুষটার খোঁজ পেয়ে গেলে ২২ পেরতে না পরতেই কিন্তু বিয়েটা সেরে ফলবেন! হয়তো ভাবতে পারেন এত কম বয়সে বিয়ে করাটা কি উচিত হবে? তাহলে বলি বন্ধু আপনাদের ক্ষেত্রে গ্রহ-নক্ষত্রের আবস্থান যা তাতে এই বয়সে বিয়ে করে ফললে কিন্তু খুব আনন্দে থাকবেন।

১১. কুম্ভরাশি: এরা সম্পর্কে তো যেতে চান, কিন্তু একই সময় নিজেদের সঙ্গে সময় কাটাতেও ভালোবাসেন। তাই আপনার এমন বৈচিত্রময় স্বভাবকে বুঝতে পারবে এমন মানুষের সন্ধান পেলে বিয়েটা সেরে ফলতে দেরি করবেন না যেন!

১২. মীনরাশি: এরা যেমন ইমোশনাল হন, তেমনি স্বপ্নের দুনিয়ায় সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন। এমন স্বভাবের মানুষদের পক্ষে জীবনসঙ্গীর খোঁজ পাওয়াটা একটু মুশকিল বটে। তবে যাই হোক না কেন ২৭ পরনোর আগে বিয়েটা সেরে ফলতে ভুলবেন না যেন!

Random Post