মাঝে মাঝেই কি মাড়ির যন্ত্রণায় ভোগেন? তাহলে উপকার পেতে কাজে লাগান এই আয়ুর্বেদিক ওষুধগুলিকে!


মাড়ির যন্ত্রণাকে কখনই হলকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে মুখ গহ্বরের অন্দরে যে কোনও জটিল রোগের সূচনাই হয় মাড়ির যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে। তাই এমনটা হলে অযথা সময় নষ্ট করা মানে কিন্তু বেজায় বিপদ! প্রসঙ্গত,অনেক কারণে মাড়িতে যন্ত্রণা হতে পারে। যেমন ধরুন- ভাল করে দাঁত না মাজা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, মাত্রাতিরিক্ত ব্রাশ করার প্রবণতা, মাউথ আলসার, মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের অভ্য়াস প্রভৃতি। এখন প্রশ্ন হল, কারণ যাই হোক না কেন, মাড়ির যন্ত্রণা চটজলদি কমানোর কি কোনও উপায় আছে? আলবাৎ আছে! তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। নিয়মিত কনকনে ঠান্ডা জলে স্নান করা বা সাঁতার কাটা উচিত কেন জানা আছে? নিয়মিত কনকনে ঠান্ডা জলে স্নান করা বা সাঁতার কাটা উচিত কেন জানা আছে? আচ্ছা কাঁচা লঙ্কা খেলে কি সত্যিই গ্যাস্ট্রিকের মতো পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে? আচ্ছা কাঁচা লঙ্কা খেলে কি সত্যিই গ্যাস্ট্রিকের মতো পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে? রাশি অনুসারে কে কোন জিনিসটা হারাতে ভয় পায় জানা আছে? রাশি অনুসারে কে কোন জিনিসটা হারাতে ভয় পায় জানা আছে? Featured Posts আসলে এই লেখায় এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর হল, যাদেরকে কাজে লাগালে নিমেষে এই ধরণের কষ্ট কমে যায়। তাই আপনিও যদি মাঝে মধ্যে মাড়ির যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন, তাহলে এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! সাধারণত যে যে উপাদানগুলি মাড়ির যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে আসে, সেগুলি হল...

১. হলুদ গুঁড়ো: এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা একদিকে যেমন মুখ গহ্বরের অন্দরে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা একাধিক রোগকে সমূলে নিমূল করে, তেমনি যে কোনও ধরনের যন্ত্রণাকেও কমিয়ে ফেলে। তাই তো মাড়ির যন্ত্রণা কমাতে হলুদকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন হলুদের গুঁড়োর সাহায্য়ে যদি দাঁত মাজতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

২. নারকেল তেল: মাড়ির যে কোনও ধরনের রোগ সরাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে নারকেল তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ মুখ গহ্বরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ফলে মাড়ির যন্ত্রণা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, টুথপেস্টের পরিবর্তে প্রতিদিন নারকেল তেল দিয়ে দাঁত মাজুন। দেখবেন প্রায় সব ধরনের ডেন্টাল প্রবলেম একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

৩. গ্রিন টি: এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মাড়ির ক্ষত সারিয়ে যন্ত্রণা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে মুখ গহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে আরও সব ডেন্টাল প্রবলেম হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এক কাপ গ্রিন টি খেতে হবে। তবেই দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।

৪. ফলের রস: একাধিক গবেষণা অনুসারে নিয়মিত এক গ্লাস করে ফলের রস খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন নানাবিধ রোগের প্রকোপ কমে, তেমনি দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটতে শুরু করে। আর এমনটা হলে মুখ গহ্বরের অন্দরে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নানাবিধ রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

৫. তিল তেল: মুখ গহ্বরে জমতে থাকা একাধিক টক্সিক উপাদানের কর্মক্ষমতা কমিয়ে ব্যথা কমাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। আসলে তিল তেলে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান মুখের ভিতরে বাসা বেঁধে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের নিমেষে মেরে ফেলে। ফলে মাড়ি এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। প্রতিদিন সকালে পরিমাণ মতো তিল তেল নিয়ে কুলকুচি করুন। কয়েকদিন এমনটা করলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে।

৬. ইউক্যালিপটাস তেল: অল্প করে এই প্রকৃতিক তেলটি নিয়ে পরিমাণ মতো জলে মিশিয়ে কিছুক্ষণ মাড়িতে মাসাজ করুন। সময় হয়ে গেলে মুখটা ধুয়ে নিন। এমনটা রোজ করলেই দেখবেন মাড়ির ফোলা ভাব এবং যন্ত্রণা কমে যাবে। শুধু তাই নয় ক্যাভিটি দূর করতেও এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুন কাজে আসে।

৭. অ্যালো ভেরা জেল: এতে রয়েচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা একদিকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে, আর অন্যদিকে মাড়ির যন্ত্রণা কমায়। এক্ষেত্রে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে? পরিমাণ মতো অ্যালো ভেরা জেল সংগ্রহ করে নিন। তারপর সেই জেল ব্রাশে লাগিয়ে ভাল করে দাঁত মাজুন। আর যদি এমনটা করতে ইচ্ছা না করে, তাহলে অ্যালো ভেরা জেল মুখে নিয়ে কুলকুচিও করতে পারেন। তাতেও সমান সুফল মেলে। প্রসঙ্গত, য়ে কোনও খাবার খাওয়ার পর এইভাবে দাঁতের খেয়াল রাখলে দেখবেন আর কোনও দিন দাঁত বা মাড়ি নিয়ে চিন্তায় পরতে হবে না।

৮. লেবু তেল: পরিমাণ মতো অলিভ অয়েলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে কয়েক সপ্তাহ রেখে দিন। তাহলে তৈরি হয়ে যাবে আপনার লেবু তেল। এই বিশেষ ধরনের তেলটিতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফলে মাড়ির যন্ত্রণা নিমেষে কমিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন লেবু তেল দিয়ে কুলকুচি করলে তবে উপকার মেলে।

৯. লবঙ্গ: দাঁত এবং মাড়ির যন্ত্রণা কমাতে বহুকাল আগে থেকে লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল প্রপাটিজ, যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করার পাশপাশি মাড়ির যে কোনও ধরনের সমস্যা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে নতুন কোষের জন্ম দিয়ে মাড়ির ক্ষত দূর করতেও এটি দারুন কাজে আসে। প্রতিদিন লবঙ্গ তেল দিয়ে কুলকুচি করলে দারুন ফল পাওয়া যায়।

Random Post